
E. B. Cowell
ই. বি. কাউয়েল (Edward Byles Cowell) ছিলেন একজন খ্যাতিমান ব্রিটিশ পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ, এবং সংস্কৃত ভাষার বিশেষজ্ঞ, যিনি প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য ও ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন। তার জন্ম ১৮২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের ইপ্সউইচ শহরে। শৈশব থেকেই তার বিদ্যাশক্তি এবং ভাষাগত দক্ষতার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। তিনি অল্প বয়সে ফারসি ও সংস্কৃত ভাষা শেখা শুরু করেন, যা পরবর্তীকালে তার গবেষণার মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্টস কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি সংস্কৃত ভাষা ও প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য বিষয়ে গভীরভাবে মনোনিবেশ করেন। তার কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সম্পাদনা এবং অনুবাদ করেন, যা প্রাচ্যবিদ্যার ক্ষেত্রে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে। ই. বি. কাউয়েল প্রথম পশ্চিমা পণ্ডিতদের মধ্যে একজন, যিনি বৌদ্ধ ধর্মের সাহিত্য এবং ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে "The Jataka: Stories of Buddha's Former Birth", যা বৌদ্ধ জাতকের গল্পের এক অনন্য সংকলন। জাতক গ্রন্থগুলোতে গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের গল্পগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং আত্মত্যাগের বার্তা বহন করে। এই বইটিতে ই. বি. কাউয়েল ভারতীয় সাহিত্যের গভীর জ্ঞান এবং বৌদ্ধধর্মের ঐতিহ্য সম্পর্কে তার গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে সংযোজিত করেছেন। ১৮৬৭ সালে ই. বি. কাউয়েল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংস্কৃত অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান। তার প্রচেষ্টায় পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য এবং সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। তিনি সংস্কৃত ভাষার বিভিন্ন গ্রন্থ, যেমন উপনিষদ, মহাভারত এবং অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে কাজ করেন এবং সেগুলো পশ্চিমা পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন। ই. বি. কাউয়েলের মৃত্যু ১৯০৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হলেও তার কাজ আজও প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের গবেষকদের জন্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তার লেখনী, গবেষণা, এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি অগাধ ভালবাসা তাকে বিশ্বজুড়ে একজন শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে
E. B. Cowell এর বই সমূহ