দি এনার্কি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সহিংসতা ও সাম্রাজ্য লুন্ঠনের কাহিনি
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার ভারত দখল শুরু করেনি, শুরু করেছিল ১৫৯৯ সালে লন্ডনে গঠিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যারা ভারতকে লুণ্ঠনের অবাধ ক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। সময়ের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে। এভাবে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার অকল্পনীয় ঘটনাই ঘটেছিল ভারতে। ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে বাংলার নওয়াব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে ভারতে কোম্পানির শাসনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন রবার্ট ক্লাইভ। কিন্তু কীভাবে এই কোম্পানি মাত্র ছেচল্লিশ বছরে সমগ্র ভারত দখল করতে সক্ষম হয়েছিল? ভারতের শাসকদের একজনকে আরেকজনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও যুদ্ধে লিপ্ত করার মধ্য দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রায় অনায়াসে দখল করেছিল বিশাল উপমহাদেশকে। এরপর মােগল বংশের সকল প্রতিদ্বন্দ্বী এবং দেশীয় রাজা ও নওয়াব-অভিজাত সকলকে একে একে ক্ষমতার গগন থেকে ছুড়ে ফেলে, প্রয়ােজনে হত্যা করে নিজেদের চলার পথকে কন্টকমুক্ত করেছে। তারা ভারতীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে নিজেদেরকেই একটি সাম্রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৮০৩ সালের মধ্যে কোম্পানি ভারতে তাদের সৈন্য সংখ্যা দুই লাখে উন্নীত করেছিল, যা মােকাবিলা করার শক্তি ভারতের আর কোনাে শাসকের ছিল না। তাদের সৃষ্ট যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, বহু নগরী ধ্বংস হয়েছে, ব্যাপক লুটতরাজ হয়েছে, হাজারও জনপদ উজাড় হয়েছে, শাসকের পরিবর্তন ঘটেছে এবং লাভবান হয়েছে। একটি মাত্র শক্তি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তাদের দুঃশাসন, নিপীড়ন ও লুণ্ঠনে ক্ষুব্ধ ভারতবাসী ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহ দমন করা হলেও জনগণের আকাঙক্ষার মৃত্যু হয়নি। তাদের অব্যাহত সংগ্রামের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। এ বিষয়গুলােই উইলিয়াম ড্যালরিম্পল তুলে ধরেছেন তাঁর “দি এনার্কি : দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, কর্পোরেট ভায়ােলেন্স, এন্ড দ্য পিলেজ অফ অ্যান এম্পায়ার’ গ্রন্থে। কোম্পানির কর্মকাণ্ডকে তিনি বিশ্ব ইতিহাসে কর্পোরেট সহিংসতার চূড়ান্ত সর্বনাশা অপকর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ড্যালরিম্পেল ইতিহাসকে প্রচলিত ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাঁর বর্ণনায় আবেগ অনুভূতিকে স্থান দিয়েছেন।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার ভারত দখল শুরু করেনি, শুরু করেছিল ১৫৯৯ সালে লন্ডনে গঠিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যারা ভারতকে লুণ্ঠনের অবাধ ক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। সময়ের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে। এভাবে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার অকল্পনীয় ঘটনাই ঘটেছিল ভারতে। ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে বাংলার নওয়াব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে ভারতে কোম্পানির শাসনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন রবার্ট ক্লাইভ। কিন্তু কীভাবে এই কোম্পানি মাত্র ছেচল্লিশ বছরে সমগ্র ভারত দখল করতে সক্ষম হয়েছিল? ভারতের শাসকদের একজনকে আরেকজনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও যুদ্ধে লিপ্ত করার মধ্য দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রায় অনায়াসে দখল করেছিল বিশাল উপমহাদেশকে। এরপর মােগল বংশের সকল প্রতিদ্বন্দ্বী এবং দেশীয় রাজা ও নওয়াব-অভিজাত সকলকে একে একে ক্ষমতার গগন থেকে ছুড়ে ফেলে, প্রয়ােজনে হত্যা করে নিজেদের চলার পথকে কন্টকমুক্ত করেছে। তারা ভারতীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে নিজেদেরকেই একটি সাম্রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৮০৩ সালের মধ্যে কোম্পানি ভারতে তাদের সৈন্য সংখ্যা দুই লাখে উন্নীত করেছিল, যা মােকাবিলা করার শক্তি ভারতের আর কোনাে শাসকের ছিল না। তাদের সৃষ্ট যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, বহু নগরী ধ্বংস হয়েছে, ব্যাপক লুটতরাজ হয়েছে, হাজারও জনপদ উজাড় হয়েছে, শাসকের পরিবর্তন ঘটেছে এবং লাভবান হয়েছে। একটি মাত্র শক্তি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তাদের দুঃশাসন, নিপীড়ন ও লুণ্ঠনে ক্ষুব্ধ ভারতবাসী ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহ দমন করা হলেও জনগণের আকাঙক্ষার মৃত্যু হয়নি। তাদের অব্যাহত সংগ্রামের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। এ বিষয়গুলােই উইলিয়াম ড্যালরিম্পল তুলে ধরেছেন তাঁর “দি এনার্কি : দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, কর্পোরেট ভায়ােলেন্স, এন্ড দ্য পিলেজ অফ অ্যান এম্পায়ার’ গ্রন্থে। কোম্পানির কর্মকাণ্ডকে তিনি বিশ্ব ইতিহাসে কর্পোরেট সহিংসতার চূড়ান্ত সর্বনাশা অপকর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ড্যালরিম্পেল ইতিহাসকে প্রচলিত ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাঁর বর্ণনায় আবেগ অনুভূতিকে স্থান দিয়েছেন।
Writer |
|
Translator |
|
Publisher |
|
ISBN |
9789849937258 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
Bangladesh |
Format |
Hardcover |
Pages |
502 |