চোখের বালি
চোখের বালি
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)
গীতাঞ্জলি
গীতাঞ্জলি
112.00 ৳
140.00 ৳ (20% OFF)

দিবা রাত্রির কাব্য

https://baatighar.com/web/image/product.template/96175/image_1920?unique=867d413
(0 review)


মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সাহিত্যে আধুনিকতার প্রথম পরিস্ফুটন উন্মোচন ঘটল তাঁর প্রথম রচিত উপন্যাস ‘বিদারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫)। লেখক নিজে বইটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘এটি গল্পও নয়, উপন্যাসও নয়, রূপককাহিনি। রূপকের এ একটি নূতন রূপ”।
‘দিবারাত্রির কাব্য’-এ এ আধুনিকতার লড়্গণ প্রকাশ পেয়েছে। তার অধিকাংশাই ‘প্রটাগনিস্ট’ চরিত্র হেরম্বের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। অবশ্য প্রসঙ্গত বলা চলে, সুরাসক্ত ও ধর্মচর্চার আড়ালে অস্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত মালতী ও তার স্বামী অনাথের মধ্যকার দাম্পত্য সম্পর্কের জটিলতা ও চূড়ান্ত মানস বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও লেখকের আধুনিক জীবনদৃষ্টির লড়্গণ পরিষ্ফুট। হেরম্বের মননধর্মী জটিল আতত্মজিজ্ঞাসা ও আতঙ্ক প্রকাশই তার চরিত্রে আধুনিকতার আদলটিকে স্পষ্ট করেছে। হেরম্বর কোনো নিরাশ্রমী প্রেমে ইতিবাচক সাড়া দিতে অক্ষম। সেখানে সে ‘বরফের মতো শীতল’। তাই সে সুপ্রিয়ার কাছ থেকে কেবলই পালিয়ে যেতে চায়। আসলে সে এককালের এক নিঃসঙ্গ নিঃসমাজ বিচ্ছিন্ন এক বিপন্ন সত্তা। হেরম্বের একটি পারিবারিক জীবনপট ছিল, ছিল স্ত্রী ও কন্যা। স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়েছে। তারজন্যে হেরম্বের কোনো বেদনাবোধ নেই। আর মেয়ে সম্পর্কে তার উক্তি : ‘একটা মেয়ে আছে দু’বছরের। আছে বলছি এজন্য যে পনের দিন আগে ছিল দেখে এসেছি। এর মধ্যে মরে গিয়ে থাকলে নেই।’
সব মিলিয়ে জীবন সম্পর্কে এব প্রবল অর্থহীনতা, এক নিদারম্নণ শূন্যতা ও নিস্ফলতার বোধে আক্রাšত্ম উপন্যাসটির মুখ্য চরিত্র। স্বীয় জীবনের এই নিরর্থতা হেরম্বের চরিত্রকে শুধু আধুনিক লক্ষণে চিহ্নিত করেছে তাই নয়, চরিত্রটিকে আধুনিক উপন্যাসের ‘অ্যান্টিহিরো’ এর পর্যায়ভুক্ত করেছে।

160.00 ৳ 160.0 BDT 200.00 ৳

200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Out of Stock
সিলেট শাখা Out of Stock
চট্টগ্রাম শাখা Out of Stock
রাজশাহী শাখা Out of Stock
Pages

128

Format

Hardcover


100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সাহিত্যে আধুনিকতার প্রথম পরিস্ফুটন উন্মোচন ঘটল তাঁর প্রথম রচিত উপন্যাস ‘বিদারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫)। লেখক নিজে বইটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘এটি গল্পও নয়, উপন্যাসও নয়, রূপককাহিনি। রূপকের এ একটি নূতন রূপ”। ‘দিবারাত্রির কাব্য’-এ এ আধুনিকতার লড়্গণ প্রকাশ পেয়েছে। তার অধিকাংশাই ‘প্রটাগনিস্ট’ চরিত্র হেরম্বের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। অবশ্য প্রসঙ্গত বলা চলে, সুরাসক্ত ও ধর্মচর্চার আড়ালে অস্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত মালতী ও তার স্বামী অনাথের মধ্যকার দাম্পত্য সম্পর্কের জটিলতা ও চূড়ান্ত মানস বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও লেখকের আধুনিক জীবনদৃষ্টির লড়্গণ পরিষ্ফুট। হেরম্বের মননধর্মী জটিল আতত্মজিজ্ঞাসা ও আতঙ্ক প্রকাশই তার চরিত্রে আধুনিকতার আদলটিকে স্পষ্ট করেছে। হেরম্বর কোনো নিরাশ্রমী প্রেমে ইতিবাচক সাড়া দিতে অক্ষম। সেখানে সে ‘বরফের মতো শীতল’। তাই সে সুপ্রিয়ার কাছ থেকে কেবলই পালিয়ে যেতে চায়। আসলে সে এককালের এক নিঃসঙ্গ নিঃসমাজ বিচ্ছিন্ন এক বিপন্ন সত্তা। হেরম্বের একটি পারিবারিক জীবনপট ছিল, ছিল স্ত্রী ও কন্যা। স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়েছে। তারজন্যে হেরম্বের কোনো বেদনাবোধ নেই। আর মেয়ে সম্পর্কে তার উক্তি : ‘একটা মেয়ে আছে দু’বছরের। আছে বলছি এজন্য যে পনের দিন আগে ছিল দেখে এসেছি। এর মধ্যে মরে গিয়ে থাকলে নেই।’ সব মিলিয়ে জীবন সম্পর্কে এব প্রবল অর্থহীনতা, এক নিদারম্নণ শূন্যতা ও নিস্ফলতার বোধে আক্রাšত্ম উপন্যাসটির মুখ্য চরিত্র। স্বীয় জীবনের এই নিরর্থতা হেরম্বের চরিত্রকে শুধু আধুনিক লক্ষণে চিহ্নিত করেছে তাই নয়, চরিত্রটিকে আধুনিক উপন্যাসের ‘অ্যান্টিহিরো’ এর পর্যায়ভুক্ত করেছে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯ মে, ১৯০৮-৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় মুহূর্তে বাংলা কথা-সাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে সাহিত্যজগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও মার্কসীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনায় ফুটে উঠেছে। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন চল্লিশটি উপন্যাস ও তিনশত ছোটোগল্প। তার রচিত পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি উপন্যাস ও অতসীমামী, প্রাগৈতিহাসিক, ছোটবকুলপুরের যাত্রী ইত্যাদি গল্পসংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনাসমূহ বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর, মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।

Writer

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

Publisher

দি রয়েল পাবলিশার্স

ISBN

9789843377258

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

Pages

128