লুৎফর রহমান প্রকৃতই মানবপ্রেমিক লেখক। তিনি চোখের সম্মুখে দেখতে চেয়েছিলেন শুদ্ধ সমাজ, শুদ্ধ মানুষ, সুখি পরিবার। মানুষের ভণ্ডামি তিনি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করতে চেয়েছিলেন। লেবাসসর্বস্ব ধর্ম তিনি ঘৃণা করেছেন সর্বাত্মকরণে। তার রচনাবলিতে পাওয়া যায় পরিচ্ছন্ন ধর্মবোধ, মানবিকতা, মানুষের রাজনীতি, সমসাময়িক অর্থনীতি, দৈনন্দিন কৃষিকর্ম, শরীরচর্চা, সুস্থ ও পরিমিত জৈবিক যৌনতা। এসব বিষয়ে লিখে তিনি আসলে একটি উন্নত, রুচিবোধসম্পন্ন জাতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। পরিমিতিবোধ, রুচিবোধ যে একজন সাধারণ মানুষকে উন্নত মানুষে পরিণত করতে পারে, এ কথা তিনি বলেছেন বারবার। ‘যুবক জীবন’ গ্রন্থে তিনি যেসব বিষয় আলোকপাত করেছেন কথা আরম্ভ : যৌবনের ঔদ্ধত্য, নর হত্য, পাপ প্রবৃত্তি, কঠিন যুদ্ধপ্রিয় জীবন, প্রেম ও যৌবন, বাঁধন হারা, যুবকদের কর্কশ কণ্ঠ ও অন্ধবুদ্ধি, পরের বুদ্ধি, যুবকের ভবিষ্যৎ চিন্তা, যুবকদের নীতিহীনতা, যুবকের ভ্রম প্রমাদপূর্ণ আত্মবিশ্বাস দাম্ভিকতা এবং অহঙ্কার, বাক্যের মূল্য চটক দেখানো পোশাকের বাহার, সাহিত্যের সঙ্গে যোগ, যুবকদের বাহুল্য খরচ, যুবকদের মুখে অশ্লীল ভাষা, যুবকদের ধর্মজীবন, জীবনের ফকরামি ও চালভাজী, প্রভু ও ভৃত্য, সম্মানজনক ব্যবহার, যুবকদের পড়াশুনা, যুবকদের স্বাস্থ্য ক্ষয়, অসম প্রেম, জাতীয় বৈশিষ্ট, যুবকদের পিতৃভক্তি, যুবকদের সাধারণের সঙ্গে ব্যবহার ইত্যাদি।